বুকের খাঁজে আটকে থাকা নিখুঁত দৃষ্টি এড়িয়ে একটা ধবধবে সাদা ওড়না ঝুলছে সিলিং থেকে; কায়দা করে ফ্যানের ডানা গুলো বাঁকিয়ে মেঝেতে নামানো হয়েছে।”বোঝা” – বুঝিতে ভার বেড়ে যায়।
ভুলতে ভুলতে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার নামে কবর খোঁড়া হয়েছিল বুকের ডান দিকে। বাম দিকে ধুকপুকানি নেই। যেটুকু বুক চিনচিন ছিল, সেটাও আস্তে আস্তে মিলিয়ে যাচ্ছে তোমার হৃদযন্ত্রের ধড়পড়ানিতে। বুকের ঠিক মাঝ বরাবর এক গুচ্ছ শুকনো জুঁই ফুল রেখে তুমি কিছুটা শান্ত হলে, এমনিতে নিজেকে সান্ত্বনা দেওয়ার মতো কিছু লাগে না।
তবে আজ, ডায়রি ভর্তি বেলফুলের গন্ধ ছাপিয়ে গেছে ঘী আর চন্দন ধূপের সুবাসে। তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েও সম্পর্কে মধুর স্মৃতি ভাসছে— ঠিক যেমন জলের উপর তেল ভাসে। আবার গরম তেলে একফোঁটা জল ছিটিয়ে দিলেই অসাবধানতায় গায়ে ফোসকা পড়ে।
তোমারও এখন সেই অবস্থা। আমার অনুপস্থিতিতে, তোমার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় আমায় অনুভব করলে সেটাকে “ছোঁয়াচে অনুভূতি” না ভেবে “স্বার্থ-পর-ভালোবাসা” বলতে পারো… —উৎপল দাস