রোজ কিছু না কিছু অশান্তি। ছোট থেকে দাদু- ঠামমি র কাছেই মানুষ তিন্নি। মা বাবা অফিসে চলে যেতেন। তারপর যত আবদার, দুষ্টুমি সব দাদু- ঠামমির কাছে। কিন্তু মা বাবার মনের মতো কাজ না হলেই দাদু ঠামমির সঙ্গে কখোনো অশান্তি চরমে উঠতো। এত বছর পরও তার ব্যতিক্রম হয় নি। সকাল এ কাঁপা হাত এ চায়ের কাপ টা নিতে গিয়ে টেবিলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দাদুর চশমা টা পরে গিয়ে ভেঙে যায়।
মার সঙ্গে চরম অশান্তি। তিন্নি বলে উঠলো, কাউকে ভাবতে হবে না। আমি অফিস থেকে ফেরার পথে নতুন চশমা নিয়ে আসবো।
আর মা, বাপি তোমরা তো এই রবিবার দাদু ঠামমি কে “আপনজন” বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসবে।কিন্তু সেটা আর হচ্ছে না। তোমাদের না জানিয়েই আমি new town এ নিজের ফ্ল্যাট book করে নিয়েছি। দাদু- ঠামমি আমার সঙ্গে ওখানেই থাকবে। পরশু আমরা চলে যাচ্ছি।
ওখানে দাদু ঠামমি র খেয়াল রাখার জন্য গৌরী দি সবসময় থাকবে। আর অফিস থেকে ফিরে আমি দাদু-ঠামমি র সঙ্গে থাকবো। কথা হারিয়ে যায় তিন্নির মা বাবার। দাদুর চোখে জল। ঠামমি এসে তিন্নি কে জড়িয়ে ধরে। তিন্নি দাদু ঠামমি র হাত জড়িয়ে ধরে বলে এটাই হবে আমাদের “নতুন ঠিকানা”।