একের পর এক অশ্রাব্য গালাগাল দিয়ে যাচ্ছিল ইনচার্জ। অন্য সময় হলে রাজু প্রতিবাদ করত। আজ সে জানে, চকোলেটের যে বাক্সগুলো দোকানে দোকানে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল, তা থেকে একটা সরিয়ে নিয়েছে নিজেই। মনটা তার ভীষণ খুশি। পিঙ্কির হাতে বাক্সটা দিতেই তার মিষ্টি মুখে যে হাসি ফুটে উঠেছিল, তার কাছে ইনচার্জ-এর গালাগাল কিছুই নয়।
আজ চকোলেট ডে। ফুরফুরে মেজাজে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ল পিঙ্কি। সুমিত অনেক বড়লোকের ছেলে। নিশ্চয়ই দামি চকোলেট আনবে। তার জন্য সস্তা কিছু নিয়ে যাওয়া যায় নাকি? রাজু-কে একবার বলতেই চকোলেটের বাক্স এনে দিয়েছে। ছোটবেলা থেকে চিরকাল তাকে সাহায্য করে যায় ছেলেটা।
চকোলেটগুলো জানে না তাদের ঘিরে কত সম্পর্ক গড়ে ওঠে চারপাশে।
~ ঘরোয়া কবি