সেদিন যারা তোমার ছিল, আজকে তারা পাছা উল্টে ঘুমিয়ে আছে। আমাকে বলেছিলে, “হোয়াটস্যাপে অনলাইন আর হই না। আমি এখন সিরিয়াস হয়ে গেছি আরও… সারাদিন পড়াশোনাই করি।”
আমিও শালা পুরো ফালতু। বিশ্বাস কোরে তোমার বুকে সুখ খুঁজতে গিয়ে নিজেই হারিয়ে ফেলেছি জীবনে চলার রাস্তা। কলকাতাও মনে হয়, নিজেকে এ ভাবে হারিয়ে ফেলে না পাবলিকের ভিড়ে।
কতদিনের কথা সব! যখনই মনে পড়ে, মনে হয়, এই তো সেদিন বিকেল বেলার কথা। সালটা ২০১৯। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী, ২০২০-তে মাধ্যমিক দেব। তোমার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতাম বোকা-বোকা ভাব মেরে পড়ার ব্যাচের বাইরে। তুমি এসেই সোজা ঢুকে যেতে পড়ার ঘরে। তারপর আমরা বন্ধুরাও একে একে ঢুকে যেতাম পড়তে।
তারপর অনেক বসন্ত পেরিয়ে গেছে। এখন নিজেও কেলিয়ে গেছি। পাবলিক আমাকে দেখলেই বাঞ্চোত বলে। আমার কি কোনও দোষ আছে বলো? সেদিন যেমন তোমার সঙ্গে এ.ভি স্কুলের রাস্তায় দেখা! টোটো ধরবে বোলে দাঁড়িয়ে ছিলে। আমি তোমার সঙ্গে কিছু কথা বলার আগেই, তুমি টোটোতে উঠে পড়লে। কাকে শালা ভালবাসব…।
সব শালা দুই-এর এ পিঠ ও পিঠ।
এখন উচ্চ মাধ্যমিক দেওয়া হয়ে গিয়েছে। এই তো শুক্রবারেই ফলাফল। আমি আর ফলের চিন্তা করি না জানো…। অনেকদিন কবিতার কোনও লাইন আসছিল না বোলে- সেদিন সুইসাইড করতে যাচ্ছিলাম বস্তা পচা কবিতার শব্দ খেয়ে। তারপর ভাবলাম, কি হবে এই সব কোরে…! তার’চে ভাল লিকার চায়ের বদলে এক বোতল অ্যাসিড খেয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়া। যেখানে কবিতার শব্দেরাও থমকে যাবে। আর আমিও রেহাই পাব, তোমার মৃত্যু শোকে নগ্ন পাগল হওয়া থেকে…।
___ ভাল থেকো সুচরিতা। যেখানেই থাকো, শান্তিতে থাকো। শুধু আমায় ভুলে যেও না। একটা বালিশ খালি রেখো, তোমার পাশে। সুযোগ পেলে ( যখন ফালতু পৃথিবীতে বিষণ্ন লাগবে মনটা ) কোনও দিন একবার ঘুরে আসব না ফেরার দেশে…।