গত ৬ই জুন, বেরঙিন কলম ফেসবুক পেজের আয়োজিত ও অন্যান্য পেজের সহযোগিতায় এক মানবিক উদ্যোগে তৈরি হওয়া “রক্তিম” নামক স্বেচ্ছা সেবক দলের সদস্যরা পৌঁছে গেছিলো সাগারদীপ এলাকার প্রত্যন্ত গ্রাম সুমতিনগরে, ইয়াশ ঝড়ে বিধ্বস্ত কিছু মানুষকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে।আবারও ‘এবার লড়াই মানুষ বাঁচাই (পর্ব-২)’ এ গতকাল ১৮ ই জুন ২০২১, শুক্রবার গোসাবা অঞ্চলের একটি গ্রাম, হরিমন্দির পাড়াতে পৌঁছে গিয়েছে টিম ‘রক্তিম’।
প্রথম কর্ম কাণ্ডে আমাদের এই উদ্যোগে যেসব পেজদের পাশে পেয়েছি তারা হলো – “অকবির কবিত্ব”, “মনমর্জিয়া”, “নিরুত্তর”, “নিস্তব্ধতা”, “আগামী”, “ব্যাকরণ”, “আনমনার পটচিত্র”, “রেড হুড কলকাতা”, “হিজিবিজি”। আমাদের মোট নগদ সংগ্রহ হয় ৩৫,২০০টাকা, যার মধ্যে প্রায় ৩০,০০০টাকা ব্যয় হয়। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ‘বেরঙিন কলম’ ছাড়াও সহযোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছে ‘গোলাপজামুন’ পরিচালিত ‘প্লুমেরিয়া’ স্বেচ্ছাসেবক সংস্থা, ‘অকবির কবিত্ব’, ‘আঁকিয়েদের আড্ডা’, ‘নিরুত্তর’, ‘আগামী কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন’, ‘দ্য আনডিসাইডেড’ এবং ‘নিবভাঙ্গা কলম’ এবং তাদের ত্রাণ তহবিলে সংগৃহীত অর্থের ৩৫ হাজার টাকার মধ্যে প্রায় ৩০০০০টাকা কাজে লাগিয়েছে এই উদ্যোগে।এই দলের সদস্যরা অনুর্দ্ধ ২৫।
প্রথম ক্ষেত্রে যে দুই মানুষকে আমরা সব সময় পাশে পেয়েছি তারা হলো দীপ দাস ও সুমিত চ্যাটার্জী এবং দ্বিতীয় ক্ষেত্রে আমরা উল্লেখযোগ্য ভাবে পাশে পেয়েছি দীপ দাস, ভাস্বতী মন্ডল, দেবাঞ্জন বসাক, অরুনাংশু দে কে। রক্তিম টিম ২টি প্রকল্পে মোট ৩৫০টি পরিবারকে সাহায্য করতে সক্ষম হয়েছে। প্রথম ক্ষেত্রে যেসব ত্রাণ সামগ্রী প্রদান করেছি তা হলো চাল, ডাল, আলু, সোয়াবিন, তেল, নুন, মুড়ি ছাতু, বিস্কুট, দুধ গুঁড়ো প্যাকেট, সাবান, মাস্ক ও স্যানিটারি নাপকিন এবং দ্বিতীয় প্রকল্পে মোট ১৫০ টি পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে ফিনাইল, ব্লিচিং পাউডার, মশার ধূপ, ডিটারজেন্ট, সাবান, স্যাভলন, ইলেকট্রল পাউডার, মুড়ি, ছাতু , স্যানিটারি ন্যাপকিন।
আমরা জানি এইটুকু জিনিস দিয়ে তাদের সব চাহিদা পূরণ করা সম্ভব নয়, কিন্তু তাও আমরা যথা সম্ভব চেষ্টা করেছি তাদের দৈনিক খাবারের কিছু সাহায্য করা। জায়গাটি খুবই প্রত্যন্ত দিকে, ঝড় ঝাপটর আশঙ্কা সব সময় থেকে যায়, তাই আমরা এই আশা রাখবো যে ওই প্রান্তীয় মানুষগুলি যেন ভালো থাকে। আমরা সকলেই খুবই অভিভূত সকলের উপস্থিতি ও সাহায্য পেয়ে। প্রত্যেককে সাথে নিয়ে ভবিষ্যতে ‘রক্তিম’ পৌঁছে যাবে আরও সংকটাপন্ন মানুষের দোরগোড়ায়।