
বাঙালির পূজো মানেই প্রেম, ঘুরতে যাওয়া, ঠাকুর দেখা কেনাকাটি, আমাদের সেরা উৎসব! সেই উৎসবের মাঝে লুকিয়ে থাকে অনেক গল্প! সেরম একটা গল্পই যেন জীবন্ত হয়ে উঠল মনের মানুষে। পূজোতে সিনেমা, গান ও বিনোদন নিয়ে আমাদের একটা অন্য উন্মাদনা থাকে, তাই সবাই পূজোতেই লাখ লাখ টাকা খরচ করে চেস্টা করে সেরাটা তুলে ধরার। অথচ এ বছর পূজোটা ছিল একটু অন্যরকম। করোনার মহামারি আমাদের সবার জীবনের স্বাচ্ছন্দ্য কে এদিক ওদিক করেছে, তবু তার মধ্যেও খুশি খুঁজে নিয়েছি আমরা। আর অভিষেক খুঁজে নিয়েছে একটা গল্প যা সবার জীবনের অল্প বিস্তর ঘটেছে। তাই এবার পূজোর বিনোদনের সেরা আকর্ষনের ছাপ ছেড়ে গেল ‘মনের মানুষ’।

অষ্টমীতে আসার পর থেকেই মানুষের ভালোবাসা পেয়েছে অনেক, এখন সেটি ভাইরাল! প্রতি বছর পূজোতেই আমরা একটা আমাদের গল্প খুঁজি! সূজয়দা-পুচকির পর ২০২০-র পূজোয় তাই ‘মনের মানুষ’
অভিষেক বলছে “ পূজোতে তো অনেক গানই হয়, আমি একটু অন্যরকম বানানোর কথা ভাবছিলাম।আসল গল্প আমাদের জীবনেই লুকিয়ে থাকে।হঠাৎ এমন একটা বিষয় সামনে আসাতেই মাথায় এল এটা বানাবো! অরিত্র কে বললাম, ও গানটা বানিয়ে পাঠাল।গানটাই ইউ-এস-পি।তারপর মেকারের কাছে সবথেকে বড় পরিক্ষা হয় পর্দায় সেই কেমিস্ট্রিটা তৈরি করা! সেটা দক্ষ অভিনেতা অভিনেত্রী ছাড়া সম্ভব নয়! দুজনেকে ভিডিও কলে আলাপ করিয়ে বললাম এটা করতে চাইছি! হবে তো? একদিন কি বসব আমরা? দুজনই বলল দরকার নেই তুমি বাকিটা সামলাও আমরা ওটা বুঝে নেব। পরের দেখা আমাদের একদম শুটিং-এ। অনবদ্য পারফর্ম করেছে দুজনই। আমাকে তো এখন লোকজন কমেন্ট আর ফোনে বলছে ওদের নিয়ে আরও কিছু ভাবতে। হা হা হা। বাকিটা সময়ের উপর।”
দেবতুনর মতে “চারিদিকে এই চুমু টুমু থেকে বেড়িয়ে একটু রিয়ে্ল ইন্টিমেসি তৈরি করতে চাইছিলাম। আর আমি বরাবরই নারী জাতিকে আতুতুতু করি ! টু মি দে নিড্ ডিগ্নিটি। শুভস্মিতা খুব ভালো অভিনেত্রী, অভিনয়ে তো কো-অর্ডিনেশন টাই সব, সেটা ও বোঝে।মহুর্ত গুলো তাই এমনিই তৈরি হয়ে গেছে।এটা টিম ওয়ার্কের ফল হিসেবে দেখছি আমি। সবাই সবার বেস্ট দিলেই এটা হয়।আর সেটা বার করতে হবে কিভাবে, অভিষেক জানে।

শুভস্মিতা বলছে” আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না মানুষ এই ভাবে ভালোবাসবে। আমাকে সব বন্ধুরা ম্যাসেজ ফোন করে পাগল করে দিচ্ছে। আর ফেসবুক তো খুলতেই পারছিনা। ভালো লাগছে বেশ, সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।”

অরিত্র বলছে “ ও বাবা! অভিষেক যখন বলল এটা ও বানাবে, জানতাম দারুন কিছু একটা আবার হবে। এই গানটা গুনগুন করতে করতে বানালাম, দেখলাম এটাই পারফেক্ট।ভালো লাগছে মানুষ এমন ভালোবাসা দিয়েছে। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।”
শুভেচ্ছা আমাদের পক্ষ থেকে পুরো টিমকে।আরও ভালো কাজ দেখার অপেক্ষায় আমরা এসি্ ফিল্মের পক্ষ থেকে।
More Stories
রজত আর অরুণাভ মিলে নিয়ে এল টিভিএফ এর স্বাদ।
‘সত্যি বলতে তখনো আমি ভাবিনি যে আমি আবার অভিনয় ফিরব’ শেষ বেলায় কাম ব্যাক লহরী চক্রবর্তীর।
‘সবারই তো ইচ্ছে থাকে রোম্যানটিক সিনেমার হিরো হওয়ার, ওয়ান লাভ মিডিয়ার “শেষ বেলায়” সেই ইচ্ছে পূরণ হলো’ রসাত্মক অরুনাভ।